যশোরের চৌগাছায় রকি হোসেন নামের এক ইজিবাইক চালকের লাশ নিখোঁজের চারদিন পর উদ্ধার করেছে চৌগাছা থানার ফোর্স ও যশোর পিবিআই। রোববার (১৯ জানুয়ারি) চৌগাছা পৌর শহরের বেড়বাড়ির খাল থেকে রকির লাশ উদ্ধার করেন চৌগাছা থানার ফোর্স ও যশোর পিবিআই পুলিশ।
রকির লাশ ভৈরব নদের পটের নিচে চাপা দেয়া ছিল। রকি উপজেলার পাতিবিলা ইউনিয়নের পুড়াহুদা গ্রামের কৃষক লিয়াকত হোসেনের ছেলে। গত ১৬ জানুয়ারি ইজিবাইকসহ রকি নিখোঁজ হয়।
পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা সারমিন বলেন, রকির লাশ উদ্ধার করে চৌগাছা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আটকরা হলেন, পুড়াহুদা গ্রামের কষাই শরিফুর ইসলামের ছেলে ও তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজের ছাত্র সোহানুর রহমান, পৌরসভার ইছাপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে শরিফুল ইসলাম সজল, পাঁচনামনাগ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে সুজন হোসেন। আটকরা নিহত রকির পূর্ব পরিচিত ছিল।
নিহত রকির মা সায়েরা বেগম ও বোন শারমিন খাতুন জানায়, গত ১৬ জানুয়ারি ইজিবাইক নিয়ে বের হয় রকি। অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরেও রকি বাড়ি না ফেরায় আমরা ও এলাকার লোকজন তাকে খোঁজা শুরু করি। তাকে না পেয়ে রকির কৃষক বাবা লিয়াকত হোসেন চৌগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এরপরেও তাকে না পেয়ে রকির নিকট আত্মীয় সেনা সদস্য দোলাভাই আক্তারুল ইসলাম বিষয়টি যশোরের পুলিশ সুপারকে জানায়। পুলিশ সুপার বিষয়টি পিবিআইকে দেখার জন্য নির্দেশ দেন। পিবিআই সন্দেহজনক ভাবে ফোন ট্রাকিং করে তিনজনকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন।
পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ি চৌগাছা থানা পুলিশের সহযোগিতায় বেড়বাড়ি ভৈরব নদের পটের নিচ থেকে রকির লাশ উদ্ধার করেন। আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে।
চৌগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, লাশের ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
টিএইচ